স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে গৃহীত কার্যক্রম

 

“খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত”

 

খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ই মার্চ হতে ৯ইমার্চ ৩(তিন) দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে ৭ই মার্চ কবিতা আবৃত্তি ও দুই গ্রুপে(কঃ ৬ষ্ঠ-৮ম, খঃ ৯ম-১০ম) বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতা সমূহে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল লক্ষনীয়। এর পরদিন ৮ই মার্চ আয়োজন করা হয় শুদ্ধসুরে জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা। এতেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করায় প্রথমে বাছাই করে পরে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতাসমূহে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক সর্বজনাব উ থোয়াই চিং, রানু চাকমা, ভাস্কর জ্যোতি দেওয়ান, মৃণালেন্দু চাকমা, সুশীল জীবন চাকমা, টুলু মারমা, মিতালী তালুকদার, জেনিথ চাকমা, আক্কেল আলী ও তরিকুল ইসলাম প্রমূখ।

 

 

চিত্র: প্রতিযোগিতা চলছে

চিত্র: মূল্যায়ন পর্ব

 

 

 

৯ই মার্চ বিদ্যালয় হলরুমে আয়োজন করা হয় মুক্তিযুদ্ধের বীরিত্বগাঁথা বিষয়ক স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা, পুরষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকাল ১১টায় শুরু হওয়া এই জমকালো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক জনাব প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব রণবিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র জনাব নির্মলেন্দু চৌধুরী ও জেলা শিক্ষা অফিসার জনাব উত্তম খীসা। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আশাপূর্ণ চাকমা ও সঞ্চালনা করেন সিনিয়র শিক্ষক জনাব রিপন চাকমা।

 

 

চিত্র: মূল অনুষ্ঠানের আমন্ত্রনপত্র

চিত্র: মূল অনুষ্ঠানের ব্যানার

 

 

চিত্র: বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব রণবিক্রম কিশোর ত্রিপুরা কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধের রীরত্বগাথা বিষয়ক স্মৃতিচারণ পর্ব

চিত্র: প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক জনাব প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস মহোদয়ের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা

 

 

চিত্র: দেশাত্ববোধক গানে নৃত্য প্রদর্শন করছে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা-১

চিত্র: দেশাত্ববোধক গানে নৃত্য প্রদর্শন করছে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা-২

 

 

 মুক্তিযুদ্ধের বীরিত্বগাঁথা বিষয়ক স্মৃতিচারণ পর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব রণবিক্রম কিশোর ত্রিপুরা দেশমাতৃকার টানে কীভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন রোমাঞ্চকর সেইসব গল্পগাঁথা উপস্থিত সকলের সাথে শেয়ার করেন। এইসময় সকল শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকমন্ডলী মুগ্ধ হয়ে বিজয়ের কাহিনী শুনেন।

 

অলোচনা শেষে শুরু হয় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ পর্ব। আগত অতিথিদের কাছ থেকে পুরষ্কার গ্রহণ করতে পেরে প্রতিভাবান শিক্ষার্থীরা খুবই উচ্ছ্বসিত।

 

 

চিত্র: মূল অনুষ্ঠানে আগত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের একাংশ

চিত্র: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা

 

 

চিত্র: অনুষ্ঠান শেষে প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকদের সাথে শিল্পীরা

চিত্র: দেশাত্ববোধক গানে নৃত্য প্রদর্শন করছে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা-৩

 

 

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। তাথৈ চাকমা ও ফাইরুজ হুমাইরা অহনার সঞ্চালনায় সমবেত কন্ঠে কিছু দেশাত্ববোধক গান, দলীয় নৃত্য ও কবিতা আবৃত্তি দর্শক-শ্রোতাদের মোহিত করে। শেষে উপস্থিত সকলকে জলখাবার বিতরণের মাধ্যমে একটি চমৎকার আয়োজনের সমাপ্তি হয়।  

 

স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে গৃহীত কার্যক্রম